অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য এখন কম্পিউটার/ল্যাপটপের প্রয়োজন হয় না। একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমেই ঘরে বসে টাকা আয় করা যায়। ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার এমন অনেক পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোর জন্য মোবাইলই যথেষ্ট। আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু ইনকাম সোর্স রয়েছে যেগুলো জানার পর একটু পরিশ্রম করে উপার্জন করতে পারবেন। লেখালেখি করে ও ভিডিও বানানোর মাধ্যমে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করা সবচেয়ে সহজ ও সেরা উপায়।
ইউটিউবে বা ব্লগ সাইটে অনেকেই নানা রকম লোভনীয় টাইটেল দিয়ে থাকে যেখানে বলা হয় ১০ মিনিট কাজ করে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করুন দিনে ৫০০০ টাকা ও বিকাশে পেমেন্ট নিন। এইসব title দেখে অনেকেই লোভে পরে ক্লিক করে। ফলে উল্টাপাল্টা বোঝানো হয় এবং টাকা ইনকাম করার ট্রাই করে কিন্তু পারে না।
আসলে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করাটা মুটেও সহজ নয়। এটার মাধ্যমে income করতে হলে আপনার প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে এবং মাত্র কয়েকটি উপায় আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তবে আহামরি কোনো income আসবে না। মানে পকেট খরচ চালানোর মতো কিছু আয় করা যাবে যা প্রায় ৫-১০ হাজারের মতো।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে চাইলে আপনার যে পরিমাণ সময় লাগবে সেই তুলনায় income খুবই কম আসবে।
সুতরাং আপনি যদি মোটামুটি pocket খরচ চালানোর মতো কোনো আয়ের উৎস খুঁজে পেতে চান তাহলে নিচের সোর্সগুলোর মাধ্যমে mobile দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন।
বর্তমানে বাংলাদেশি কিছু ওয়েবসাইটে লেখালেখির মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় ও বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যায়।
আপনি যদি বিকাশে payment নেওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে অনেক ভাবেই বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যায়। Google adsense থেকেও এখন বিকাশে পেমেন্ট নেয়া যায় কিন্তু কিভাবে কি করা লাগবে সেটা নিয়ে আমি অন্যদিন আলোচনা করব।
সূচীপত্র
ঘরে বসে মোবাইলে আয়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনার খরচ কম হবে। যেমন- ইউটিউবিং করা ও ব্লগ সাইটে লেখালেখি করা। যারা আয় রোজগার করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং বেঁছে নিতে চান কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে computer ক্রয় বা course করতে পারছেন না তাদের জন্য মোবাইল দিয়ে শুরু করাটাই বেস্ট। আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার মাধ্যমে একসময় computer ক্রয় করে উপার্জন আরো বৃদ্ধি করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

Mobile দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ৬টি উপায় হলো – ইউটিউবিং, ব্লগিং, ফেসবুক, ছবি বিক্রি, ক্যাপচা ও সার্ভে ইত্যাদি।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য এই কয়টি উৎস আপনার জন্য সবচেয়ে best হবে। আপনি যদি সময় নিয়ে ধৈর্যসহকারে কাজ করতে পারেন তাহলে এগুলোর মাধ্যমেই মোটামুটি ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউবিং করে আয়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করা। আপনি মোবাইল দিয়ে একটি জিমেইল আইডি খুলে ইউটিউবে চ্যানেল ক্রিয়েট করলে সেখানে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিভিন্ন টপিকের উপর ভিডিও আপলোড করে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর পর ইনকামের জন্য monetization চালু করতে হবে। আপনার চ্যানেলের subscriber যদি ১ হাজার হয় এবং ৪ হাজার watch time হয় তাহলে ইনকাম করার জন্য মনিটাইজেশন চালু করতে পারবেন।
মনিটাইজেশনের জন্য গুগল এডসেন্সে apply করতে হবে। গুগল এডসেন্স আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে dollars দিয়ে থাকবে। এভাবে আপনি youtube channel খোলার মাধ্যমে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে পারবেন। ফলে আপনার কোনো টাকাও খরচ করতে হবে না।
মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয়
ব্লগিং মানে হলো অনলাইনে লেখালেখি করা। আর লেখালেখির জন্য কম্পিউটারের প্রয়োজন নেই। আপনার যদি typing speed ভালো থাকে তাহলে মোবাইলে লেখালেখির মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
অনলাইনে লেখালেখির জন্য অনেক উপায় রয়েছে তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো ওয়েবসাইট তৈরি করে blogging করা।
Website তৈরি করার জন্য আপনার একটি ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। এবং ওয়েবসাইটটি সুন্দরভাবে ডিজাইন করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে সেখানে কয়েকটি article publish করে সাইটটি seo করে নিবেন।
এসইও করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাওয়া যাবে। এবং আপনার blogs পোস্টগুলো গুগলে search করলেই সবাই দেখতে পারবে। এভাবে প্রতিনিয়ত article share করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বেড়ে গেলে ইনকামের জন্য গুগল এডসেন্সে apply করতে হবে।
গুগল এডসেন্স ছাড়াও আরো অনেক বিজ্ঞাপন network রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে income করা যায়। তবে google adsense সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও ইনকাম বেশি হয়। গুগল এডসেন্স approved হয়ে গেলে আপনি blogging করে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনার ওয়েবসাইটের visitor যত বাড়তে থাকবে আপনার income তত বেশি হবে। এভাবে ব্লগিং করে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুন-
- ফ্রিল্যান্সিং কি ও কিভাবে শিখবো?
- পিসি/ল্যাপটপের জন্য সেরা সফটওয়্যার ডাউনলোডিং প্লাটফর্ম
- ব্লগিং কি ও কিভাবে ব্লগিং করে আয় করবেন?
- অনলাইনে আয় করার সেরা ওয়েবসাইটসমূহ
সার্ভে করে ইনকাম
Survey মানে হলো জরিপ করা। অনলাইনে অনেক সার্ভে সাইট রয়েছে যেখান থেকে জরিপ করার মাধ্যমে earnings করা যায়। বিভিন্ন কোম্পানি যখন তাদের products সম্পর্কে ভোক্তাদের মতামত জানতে চায় তখন তারা survey করে থাকে। এরই ধারবাহিকতায় কিছু company রয়েছে যারা অনলাইনে তাদের প্রডাক্ট সম্পর্কে সার্ভে করে থাকে।
অনলাইনে জনপ্রিয় কিছু সার্ভে সাইট হলো – Swagbucks, MyPoints, SurveySavvy, YouGov, InboxDollars ইত্যাদি।
সার্ভে করে আয় করার জন্য আপনার কোনো খরচ করতে হবে না। সার্ভে সাইটগুলোতে registration করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে পয়েন্ট পাওয়া যাবে। সেই point অনুযায়ী আপনাকে ডলার দেওয়া হবে। সার্ভে সাইটগুলো সব দেশের জন্য উপলব্ধ নয়। কিছু survey site রয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য উপলব্ধ যেমন- TGM Panel, ysense, prizerebel, swagbucks, surveysavvy ইত্যাদি। প্রতি সার্ভে থেকে ০.৫০-৫.০০ ডলার পর্যন্ত income করা যায় ও তারও অধিক।
সব survey site থেকে সমান ভাবে ইনকাম করা যায় না। কিছু সার্ভে সাইট থেকে বেশি ও কিছু সাইট থেকে কম হয়ে থাকে। সার্ভে সাইটগুলো থেকে আপনি বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারবেন যেমন- captcha করা, ভিডিও এড দেখা, বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা ইত্যাদি।
সুতরাং ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য online সার্ভে সাইটগুলো visit করতে পারেন। কিছু সার্ভে সাইটে রেজিস্ট্রেশন করলেই ৫-১০ dollar bonus দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে অনলাইনে আয়ের জন্য এইসব survey সাইটগুলোর ভ্যালু থাকবে না। তাই এটাকে স্থায়ী ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক যা এখন মেটা ভার্স এ পরিণত হয়েছে। ছোট থেকে বড় সবাই facebook use করে। কেউ বিনোদনের জন্য আবার কেউ বিজনেসের জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই বিনোদনের জন্য facebook ব্যবহার করে থাকে। অযথা সময় নষ্ট করে হাজারো facebook ইউজার। কিন্তু চাইলেই সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি দিয়ে বিভিন্ন ভাবে উপার্জন করা যায়।
আপনি যদি সারা দিন মোবাইল দিয়ে facebook newsfeed ঘুরে ফিরে সময় নষ্ট করে থাকেন তাহলে সেই সময়টাকে আয়ের উৎস বানিয়ে নিন।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার অন্যতম বড় সুবিধা হলো আপনি বিনোদনের পাশাপাশি উপার্জন করতে পারছেন।
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য facebook অন্যতম সহজ মাধ্যম। আপনার facebook একাউন্টের মাধ্যমে একটি বিজনেস পেজ খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের video upload করলে টাকা ইনকাম করা যাবে।
বর্তমানে ফেসবুক মনিটাইজেশন সুবিধা দেওয়ায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। ইউটিউবে যেমন মনিটাইজেশনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম কর যায় ঠিক তেমনই ফেসবুক মনিটাইজেশনের মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যায়।
ফেসবুক পেজ থেকে আপনি দুই ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- ভিডিও শেয়ার করে
- ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল পাবলিশ করে
ফেসবুক পেজে ভিডিও শেয়ার করে আয় করার জন্য ৬০ দিনের মধ্যে পেজের ভিডিও ৬০০,০০০ watch time হতে হবে। ৬০ দিনের মধ্যে ৬ লক্ষ ওয়াচটাইম অনেকেই করতে পারবে না। তাই ফেসবুক একটি সযোগ দিয়েছে সেটা হলো- ফ্যান followers বাড়ানোর পর যদি ৬ লক্ষ ওয়াচটাইম হয় তারপর মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করা। monetization on করার পর আপনার ভিডিওতে stream ads এর মাধ্যমে ইনকাম হবে।
Instant article publish করার মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনার একটি blog site প্রয়োজন হবে। নিয়মিত ব্লগ পোস্টগুলো ফেসবুকে পেজে শেয়ার করবেন ও ব্লগ পোস্টগুলো facebook instant আর্টিকেলে পরিণত করার জন্য ফেসবুকে apply করতে হবে। আপনার পেজে যদি ১০ হাজার real followers থাকে তাহলে মনিটাইজেশনের জন্য apply করতে পারবেন। Monetization approved হলে আপনার আর্টিকেল আপনার ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে এড দেখাবে। আর সেই ads থেকে আপনি earnings generate করতে পারবেন।
এভাবে আপনি ফেসবুকে ভিডিও ও আর্টিকেল শেয়ার করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ক্যাপচা করে ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য captcha typing করতে পারেন। ইন্টারনেটে অনেক সময় কোনোকিছু লিখে search করলে রোবট চেক করার জন্য captcha ইমেজ দেওয়া হয়। সেই ক্যাপটি সঠিকভাবে type করলে search results পাওয়া যায়। আর এইসব captcha type করার জন্য অনলাইনে কিছু platform রয়েছে যেখানে শুধু ক্যাপচা টাইপিং করা হয় ও তার বিনিময় income করা যায়।
ক্যাপচা টাইপিং করার মাধ্যমে আপনি প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা মাসে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার টাইপিং স্পীড যদি ভালো হয় তাহলে আরো বেশি incomeম করা যাবে।
অনলাইনে ক্যাপচা করে ইনকাম করার সেরা কিছু ওয়েবসাইট হলো- 2captcha, protypers, captcha2cash, captchatypers, megatypers ইত্যাদি। আপনি এই captcha সাইটগুলোতে registration করে প্রোফাইল ১০০% complete করে নিবেন। কারন অনেক সময় একাউন্ট ব্যান হয়ে যায়।
প্রতি এক হাজার normal captcha পূরনের জন্য আপনাকে ০.৩০-১.০০ ডলার দেয়া হবে। এটা সব সাইটের জন্য না কিন্তু এর কাছাকাছি থাকবে।
আপনার টাইপিং স্পীডের উপর নির্ভর করে আপনার income বৃদ্ধি পাবে। ডলার উঠানোর জন্য বিভিন্ন ব্যাংক সার্ভিসে চাইলে ভিসা কার্ডের মাধ্যমেও উঠাতে পারবেন। সুতরাং ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য ক্যাপচা এন্ট্রি জব বেঁছে নিতে পারেন। তবে স্থায়ী ভাবে এটা বেঁছে নেওয়া উচিৎ হবে না।
ছবি তুলে অনলাইনে আয়
আপনার স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে নানা রকম ফটো তুলে অনলেইনে আয় করতে পারবেন। Smartphone দিয়ে এখন অনেক ভালো মানের ছবি তোলা যায়। আপনি যদি ভালো মানের ছবি তুলতে পারেন ও একটু এডিটিং করতে পারেন তাহলে সেই ছবি বিক্রি করে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
ছবি বিক্রি করে আয় করার জন্য অনলাইনে অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে মানুষ বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন, শর্ট ভিডিও ও ফটো তুলে আপলোড করে।
আপনার ছবিগুলো যদি premium quality হয় তাহলে মানুষ সেটা ক্রয় করে নিবে। ফলে আপনি ছবি বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
ফটো বিক্রয় করার জনপ্রিয় কিছু প্লাটফর্ম হলো – shutterstock, envato, adobe stock, istock photo, getty images, alamy ইত্যাদি। এইসব সাইটগুলোতে account create করে unique টাইপের ছবি তুলে upload করবেন। তাহলে ছবি তুলে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে পারবেন।
অনেকেই আছে যারা মোবাইল দিয়ে অনেক সুন্দর ছবি তুলতে পারে ও সেগুলো নিজের কাছে রেখে দেয় বা ফেসবুকে আপলোড করে। কিন্তু আপনি যদি একটু টেকনিক্যালি বদ্ধি খাটিয়ে ছবিগুলো জায়গা মতো upload দেন তাহলে আপনার ইমেজ গুলো সারা বিশ্ব দেখার পাশাপাশি ইনকামও হবে। এটাই হলো income করার নিঞ্জা টেকনিক।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

অনলাইনে আয় রোজগার করাটা মুটেও সহজ কাজ না। আপনাকে টেকনিক্যালি বদ্ধি খাটিয়ে ইনকাম করতে হবে। অনলাইনে আয় করতে হলে যেকোনো সেক্টরেই শুরুতে ইনকামটা কম আসবে তবে যেটা নিয়ে কাজ শুরু করবেন সেটার পেছনে যদি লেগে থাকতে পারেন তাহলে জীবনে কিছু করতে পারবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন “কষ্টের ফল মিষ্টি হয়” আপনি যদি পরিশ্রম করে কোনো কাজে সফলতা আনতে পারেন তাহলে সেটার চেয়ে প্রশান্তি আর কিছুতে পাবেন না।
তাই উপরের যেকয়টি ইনকাম সোর্স নিয়ে আলোচনা করেছি প্রত্যেকটির মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে অর্থাৎ আপনাকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে ও লড়াই করে যেতে হবে। প্রতিযোগিতায় যখন সাফল্য আনতে পারবেন তখনই আপনি সফল হবেন।
আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করে ভবিষ্যতেও অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে উপরের ইনকাম সোর্সের মধ্যে ইউটিউবিং, ব্লগিং, ছবি বিক্রি, ফেসবুক ইনকাম এগুলো বেঁছে নিন।
এই টপিকগুলোর পেছনে সময় দিলে আপনি ভবিষ্যতে ভালো মানের আর্নিং করতে পারবেন ও মোবাইল বাদ দিয়ে PC দিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন। তখন আপনার এই পরিশ্রমগুলো বিশেষ ভাবে কাজে দিবে। আর earnings বাড়াতে পারবেন কয়েকগুণ বেশি।
সুতরাং ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য আপনার পরিশ্রম অনেক বেশি হবে তাই কম্পিউটার কেনার সামর্থ না থাকলে মোবাইল দিয়ে যতটুকু ইনকাম জেনারেট করবেন সেগুলো সেভ করুন এবং যত দ্রুত সম্ভব অল্প টাকার মধ্যেই একটি desktop কিনে নিন।
উপসংহার
বাংলাদেশি অনেক তরুণতরুণী বুঝে না বুঝে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য নানা উপায় খুঁজে থাকে ও সময় নষ্ট করে। তাই আজকে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করেছি। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় কি না বা করা গেলেও কিভাবে সম্ভব ইত্যাদি। মোবাইলে ইনকাম নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করা জানাতে পারেন। ধন্যবাদ!