ব্লগিং করে টাকা আয় ২০২২ । ব্লগ কি ও কেন?

ব্লগিং করে টাকা আয় : অনলাইন ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ব্লগিং করা। একটি ল্যাপটপ/মোবাইল দিয়ে ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন মাসে হাজার থেকে লক্ষ টাকা। আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করুন। আপনার লেখাগুলো ইন্টারনেট জগতে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ওয়েবসাইটের কোনো বিকল্প নেই। (earn money by blogging in bangladesh)

যেকোনো হোস্টিং কোম্পানি থেকে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করে ওয়েবসাইট তৈরি করা যাবে। ওয়েবসাইট তৈরি করার দুটি জনপ্রিয় ওয়েব বিল্ডার হলো – WordPressBlogger

একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিয়মিত ব্লগ পোস্ট করার মাধ্যমে মাসে ভালো মানের income generate করতে পারবেন। ব্লগিং করে টাকা আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো গুগল এডসেন্স। বাংলা ব্লগ লিখে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্সের কোনো বিকল্প নেই। এটা হলো অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ ও Basic একটা উপায়।

ব্লগ সাইট থেকে Advance লেভের ইনকাম করা যায় যদি ওয়েবসাইটের Content ভালো মানের হয়। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের উপর নির্ভর করবে আপনি কত টাকা ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং করে টাকা আয়

নিজের জ্ঞানে যে ব্যক্তি অনলাইনে লেখালেখি করে সে একজন ব্লগার। ব্লগিং এর মাধ্যমে যারা ইনকাম করে থাকে তারা মূলত ডিজিটাল মার্কেটার।

অনলাইনে মার্কেটিং করার মাধ্যমেই আয় করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং আয়। আর ডিজিটাল মার্কেটিং করার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি উপায় হলো ব্লগ ওয়েবসাইট।

আপনি ব্লগিং করে টাকা আয় করবেন কিভাবে তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

চলুন তাহলে আমরা ব্লগিং করে টাকা আয় করার বিস্তারিত উপায়সমূহ জেনে নেই-

ব্লগিং কি?

অনলাইনে Content Publish করাকেই ব্লগিং বলা হয়। Blog শব্দটি উদ্ভাবিত হয় “Weblog” থেকে। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই মানুষ তার ব্যক্তিগত মতামত ও দৈনদিন্দ জীবনের কার্যাবলি ব্লগিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে শেয়ার করত। সেই সময় মানুষ যখন ব্লগিং করতো তখন টাকা ইনকাম করার কোনো সুযোগ ছিলো না। তখন মানুষ ইন্টারনেটে ব্লগ পোস্ট করে আনন্দ উপভোগ করত।

ব্লগিং কি
ব্লগিং কি

সময়ের পরিবর্তে ব্লগিং যখন ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় তখন এটা থেকে আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়।

ব্লগিং করে টাকা আয় করার জন্য বর্তমানে যে পদ্ধতিগুলো মানুষ ব্যবহার করে থাকে তা হলো- গুগল এডসেন্স, বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সার, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

কেন ব্লগিং করবেন?

ব্লগিং করা খুব সহজ ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা যায় Blogging করার মাধ্যমেই। Blogging করার জন্য কোনো স্কিলের প্রয়োজন হয় না এবং আপনি মোবাইল দিয়েই লেখালেখি করে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাই Blogging করা প্রয়োজন।

বর্তমানে Mobile ইউজারের সংখ্যা প্রচুর। তাই সবাই কম-বেশি Internet ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে যারা ইউটিউব ও ফেসবুক ইউজ করে তারা বেশিরভাগই ব্লগিং এর নাম শুনেছে। এবং ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেটাও অনেকে জানেন।

সুতরাং যারাই ব্লগিং এর নাম শুনেছে তারা বেশিরভাগই ব্লগিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে ইচ্ছুক। কিন্তু সঠিক গাইডালাইন না থাকায় ব্লগিং এর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না অনেকে।

তাই আজ আমি শিখাবো ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায়।

ব্লগিং করে আয় করার জন্য কোনো পিসি/ল্যাপটপের প্রয়োজন হয় না। তবে পিসি/ল্যাপ্টপের মাধ্যমে Blogging করতে সুবিধা হবে। আপনি চাইলে একটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেই Blogging করতে পারবেন।

এছাড়া ইউটিউবারদের থেকে ব্লগারদের ইনকাম বেশি। কারন ব্লগের প্রতিটা পোস্টে গুগল বিজ্ঞাপন দেখায় কিন্তু ইউটিউবে প্রতিটা ভিডিওর ভিউতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না। ফলে ইউটিউবারদের বেশি Viewer প্রয়োজন পরে এবং ব্লগারদের ব্লগ পোস্টে প্রতিটি Visitors বিজ্ঞাপন দেখতে পাওয়ায় আর্নিং বেশি হয়। তাই তাই আপনি Blogging বেঁছে নিতে পারেন।

ইউটিউবারদের তুলনায় ব্লগারদের Investment করতে হয় তুলনামূলক কম। ইউটিউবাররা Video বানানোর জন্য বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করে থাকে যেমন- camera, mouth, lighting ইত্যাদি।

অন্যদিকে ব্লগারদের শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য Domain ও Hosting এর প্রয়োজন পরে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ব্লগিং করার জন্য আপনার কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হবে না। আপনি আর্টিকেল লেখার নিয়ম ও ওয়েবসাইটের পোস্ট গুগলে র‍্যাংক করার জন্য এসইও শিখলেই Blogging ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন।

এছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করার জন্য Blogging সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। তাই আপনি যদি সহজ উপায় অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে Blogging করুন।

ব্লগিং করার উপায় – ways to blog

Blogging করার সচেয়ে সহজ উপায় হলো ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করা। আপনার লেখা আর্টিকেলগুলো ইন্টারনেটে শেয়ার করার জন্য ওয়েবসাইটের ভূমিকা অতুলনীয়। ফ্রিতে কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় তা নিয়ে আমি একটি আর্টিকেল শেয়ার করেছি চাইলে সেটা দেখে আসতে পারেন।

ব্লগিং করার জন্য সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনার একটি পিসি/ল্যাপটপ থাকে। কারন এর মাধ্যমে আপনি আর্টিকেলের ইমেজগুলো ভালো মানের সফটওয়্যার দ্বারা এডিট করতে পারবেন এবং website control ও design করার জন্য তেমন কোনো ঝামেলা থাকবে না।

মোবাইল দিয়েও Blogging করা যায় তবে আপনার পরিশ্রম একটু বেশি হবে ও সময় বেশি লাগবে। কম্পিউটারে সবকিছু খুব সহজে কন্ট্রোল করা গেলেও মোবাইলে তা করতে পারবেন না। মোবাইলে চাইলে ব্লগের Article লিখতে পারেন। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

আপনি যেকোনো পরিস্থিতে মোবাইলে লিখতে পারলেও কম্পিউটারে তা পারবেন না। কারন কম্পিউটার যেকোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় না। সুতরাং ব্লগের আর্টিকেল লেখার জন্য Mobile বা Computer দুটুই ইউজ করতে পারেন।

ব্লগিং করার জন্য মোটামুটি যে বিষয়গুলোর উপর ধারণা থাকতে হবে তা হলো – ইন্টারনেটে বিভিন্ন টপিকের উপর Research করা, রিসার্চ করে Article তৈরি করা, Website control ও Design করা, SEO সম্পর্কে জানা, Google Adsense সম্পর্কে জানা, Keyword research করা এবং Photo editing সম্পর্কে জানা। আরো অনেক কিছু জানতে হবে যখন আপনি Blogging কাজ শুরু করবেন।

ব্লগিং কিভাবে শিখব?

Blogging শেখার জন্য সবচেয়ে সহজ কিছু উপায় হলো – ইউটিউব ভিডিও দেখা, কোনো আইটি সেন্টার থেকে কোর্স কমপ্লিট করা, ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়া, ব্লগিং PDF বই পড়া ইত্যাদি।

ইউটিউব ভিডিও দেখা – যারা অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে কম-বেশি জানেন তাদের জন্য ইউটিউবে ভিডিও দেখে ব্লগিং শেখাটাই বেস্ট। ইউটিউবে এমন অনেক Channel আছে যেগুলোতে Blogging নিয়ে ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। আপনি চাইলে YouTube টিউটোরিয়ালগুলো দেখে ব্লগিং শিখতে পারেন।

আইটি সেন্টার – আপনার বাসার কাছাকাছি যদি কোনো IT Center থাকে তাহলে সেখানে Course করে ব্লগিং শিখতে পারেন। বাংলাদেশে এমন অনেক আইটি সেন্টার আছে যারা অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। আপনার পছন্দ মতো যেকোনো আইটি সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে Digital Marketing বা Blogging শিখতে পারেন।

ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়া – অনলাইনে গুগলে ব্লগিং নিয়ে Search করলে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট চলে আসবে যেখানে ব্লগিং শেখার আগ্রহীদের জন্য ধারাবাহিক আর্টিকেল শেয়ার করা হয়েছে। আপনি ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো ভালো করে পড়লে ব্লগিং সম্পর্কে জানতে পারবেন ও ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায় সেটাও জানতে পারবেন।

পিডিএফ বই – অনলাইনে বিভিন্ন E-commerce সাইট রয়েছে যেখানে পিডিএফ বই পাওয়া যায়। কিছু ওয়েবসাইটে ফ্রি পাওয়া গেলেও ই-কমার্স সাইট থেকে বেশিরভাগ বইগুলো Paid হয়ে থাকে। তো আপনি চাইলে PDF বই পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ও ব্লগিং সম্পর্কে জানতে পারেন।

নিজে নিজে ব্লগিং কিভাবে শিখব – আপনি নিজের মতো করে বিভিন্ন উপায় ব্লগিং শিখতে পারেন। যদি Blogging সম্পর্কে সব তথ্য ইউটিউবে না পেয়ে থাকেন তাহলে গুগলে সার্চ করুন। বিভিন্ন বাংলা ব্লগ ও ইংলিশ ব্লগ সাইটগুলোতে বিভিন্ন ভাবে Blogging সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবেন। এছাড়া আপনার কোনো পরিচিত লোক থাকলে তার কাছ থেকে হেল্প নিয়ে ব্লগিং শিখতে পারেন।

আরো পড়ুন-

ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

৫টি উপায় আপনি ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। বিজ্ঞাপন, স্পন্সারশীপ, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন কোর্স ও অনলাইনে ব্যবসায়। এগুলো হলো ব্লগ থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায়। এর বাইরেও আপনি আরো বিভিন্ন ভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।

ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়
  1. বিজ্ঞাপন (advertising) – ব্লগিং করে টাকা আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ উপায় হলো এডসেন্স। এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ব্লগ সাইটে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যাবে ফলে আপনি সেখান থেকে ডলার আয় করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখার জন্য আপনাকে এডসেন্স নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।

জনপ্রিয় কিছু এডসেন্স নেটওয়ার্ক হলো –

  • গুগল এডসেন্স (google adsense)
  • রেভকনটেন্ট (revcontent)
  • এডস্টাররা নেটওয়ার্ক (adsterra network)
  • প্রপেলার এড (propellerads)

আপনার ব্লগ সাইটে যদি ভিজিটর বাড়াতে পারেন তাহলে এইসব Ads Publisher থেকে বিজ্ঞাপনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। আপনার Website যদি বিজ্ঞাপনের উপযুক্ত হয় তাহলে এপ্লাই গ্রহণ করা হবে। এইসব এড নেটওয়ার্কের বাইরেও আরো বিভিন্ন এড পাবলিশার আছে। তবে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন পাবলিশার হলো গুগল এডসেন্স।

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং (digital marketing) – বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ব্লগিং করে ডিজিটাল মার্কেটিং করে টাকা আয় করার জন্য। আর Adsense হলো extra income হিসেবে কাজ করে। অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের প্রডাক্টগুলো আপনার ব্লগ সাইটে প্রচার করার মাধ্যমে যে income আসে সেটাই ডিজিটাল মার্কেটিং বা Affiliate Marketing। বিভিন্ন e-commerce সাইটে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার অপশন থাকে আপনি চাইলে সেই মার্কেটের পণ্যগুলো নিজের সাইটে Marketing করে ভালো মানের আয় করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার উৎস সমূহ –

  • এফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing)
  • সিপিএ মার্কেটিং (cpa marketing)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (search engine marketing)
  • ইমেইল মার্কেটিং (email marketing)

ডিজিটাল মার্কেটিং করার আরো বিভিন্ন উৎস রয়েছে। যারা একটু বুদ্ধি খাটাতে পারবে তারা এই Sector থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবে। এটাই হলো ব্লগিং করে টাকা আয় করার অন্যতম সেরা উপায়।

  1. স্পন্সারশীপ (sponsorship) – আপনার ব্লগ সাইট যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বা Visitors বাড়তে থাকবে তখন বিভিন্ন Company তাদের প্রডাক্টগুলো বিক্রয় বাড়ানোর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে Sponsor করতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। তাদের Sponsorship পেয়ে আপনি Blog site থেকে প্রতিমাসে আয় করতে পারবেন। স্পন্সরশীপ সবাই পায় না, তবে যাদের ওয়েবসাইটের content quality ভালো তারা খুব সহজেই স্পন্সরশীপ পেয়ে যায়।
  2. অনলাইন কোর্স (online courses) – আপনি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে কোর্স/প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইট যদি একটি শিক্ষণীয় website হয় তাহলে সেখানে বিভিন্ন tutorial package বিক্রয় করতে পারবেন। টিউটোরিয়াল প্যাকেজ বিক্রয় করার জন্য আপনি কিছু course free করে বাকিগুলোর মধ্যে charge বসিয়ে দিলেই উপার্জন করতে পারবেন।

যেসব ধরনের ভিডিও প্যাকেজ তৈরি করবেন –

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন (graphic design)
  • ডিজিটাল মার্কেটিং (digital marketing)
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (web development)
  • বিভিন্ন সাবজেক্ট নিয়ে কোচিং কোর্স তৈরি করা

এইসব কোর্স বিক্রয় করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে হবে ও ভিজিটরদের বিশ্বস্ত অর্জন করতে হবে। তাদের বিশ্বাস ও আকাঙ্ক্ষা অর্জন করতে পারলেই আপনি Course বিক্রয় করেই ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।

  1. অনলাইনে ব্যবসায় – ব্লগ থেকে আয় করার ভালো মানের একটি আইডিয়া হলো অনলাইনে বিজনেস করা। যারা চাকরি করতে চান না বা ফ্রিল্যান্সিং করার ইচ্ছে নাই তাদের জন্য Online বিজনেসটাই বেস্ট। Online business করার জন্য ইউটিউব ও ব্লগিং দুইটাই সেরা।

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া –

  • লাইব্রেরীর বই বিক্রয় করা
  • জামা-কাপড় বিক্রয় করা
  • ডোমেইন হোস্টিং সেল করা
  • ওয়েব থিম/টেমপ্লেট/মোবাইল অ্যাপস বিক্রি করা
  • ইলেকট্রনিক্স/ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি বিক্রয় করা

আপনি চাইলে আরো বিভিন্ন নান্দনিক টাইপের Product অনলাইনে সেল করতে পারেন। তবে বেশিরভাগ চেষ্টা করবেন যেসব প্রডাক্ট ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে সেগুলো বিক্রি করতে। কারন অনলাইনে আকর্ষনীয় জিনিসগুলো মানুষের চোখে পরে বেশি।

অনলাইনে বিজনেস চালু করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে হবে। আপনার সাইটে যখন Visitors বেড়ে যাবে তখন একটি অনলাইন বিজনেস চালু করার সিদ্ধান্ত নিবেন। যে প্রডাক্টগুলো আপনি অনলাইনে sell করতে চান তখন সেই product সম্পর্কে Blog post করা শুরু করবেন ও বিভিন্ন অফার চালু করবেন তাহলেই আপনি অনলাইনে বিজনেস করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আরো পড়ুন-

বাংলা ব্লগ নাকি ইংলিশ ব্লগ?

ব্লগিং করার জন্য সবচেয়ে best language হলো ইংরেজি। আপনি যদি ইংলিশে ব্লগ লিখতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পাবেন ও ইনকাম হবে কয়েকগুণ বেশি।

আপনি যদি শুধুমাত্র বাংলাদেশকে টার্গেট রেখে ব্লগিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান তাহলে আপনার সফলতা অর্জন করতে অনেক বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

এছাড়া বাংলা ব্লগে earnings কম হয় ও সকল ধরনের Marketing ও অনলাইনে করতে পারবেন না। যদি বাংলাদেশকে Target রেখেই blog site তৈরি করেন ও বাংলাদেশের মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করে নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করেন তাহলে মোটামুটি ভালো মানের আয় করতে পারবেন।

অন্যদিকে ইংরেজি ভাষায় article লেখার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ভিজিটর আসতে থাকবে ও বিভিন্ন দেশের অর্থের মূল্য অনুযায়ী Income হওয়া শুরু করবে।

English blog সাইটে সারা বিশ্বের মানুষ ভিজিট করবে ও বিভিন্নভাবে মার্কেটিং করে তাদের কাছে পণ্য বিক্রয় করা যাবে।

ইংলিশ সাইটে যদি কোনো ভাবে visitors বাড়াতে পারেন তাহলে আপনার career নিয়ে আর ভাবতে হবে না।

আপনি ঘরে বসে লেখালেখির মাধ্যমেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।

বাংলা ব্লগ লিখে আয় – income by writing bangla blog

Bangla ব্লগ লিখে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বিজ্ঞাপন/এড। বাংলা ব্লগ লিখে আয় করতে হলে আপনার কয়েক মাস একাধারে পরিশ্রম করে যেতে হবে। এবং তখন Earnings এর চিন্তা বাদ দিয়ে সাইটের Visitors বাড়াতে হবে ও নিয়মিত Post করে যেতে হবে। ওয়েবসাইট খুলে গুগল এডসেন্সের approved পাওয়ার পর প্রায় এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত ভালো মানের article post করতে পারলে আপনার সাইট থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করা যাবে। ইনকাম বাড়াতে নিয়মিত article লিখে যেতে হবে।

বাংলা ব্লগ লিখে আয় করার সহজ কিছু উপায় হলো Advertising, Sponsorship, Affiliate Marketing, Online course ও Online business।

এখানে আপনি বিজ্ঞাপন, অনলাইন কোর্স ও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। অন্যান্য উৎস হতে আয় করার জন্য ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে হবে।

সুতরাং আপনি যদি Career হিসেবে ব্লগিং বেঁছে নিতে চান তাহলে ইংলিশে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন। অন্যথায় part time taka আয় করার জন্য বাংলা ব্লগ বেঁছে নিতে পারেন। যদিও বাংলা ব্লগে লেগে থাকলে এক সময় ভালো মানের টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের অনেক বাংলা ব্লগার রয়েছে যারা মাসে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করে থাকে।

ফ্রি ব্লগ থেকে আয় – make money from free blog

একটি ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়েও টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি ব্লগিং জগতে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে একটি free website বানিয়ে ব্লগিং শিখতে ও আয় করতে পারেন। ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় platform হলো ব্লগার ডটকম।

এখানে আপনি একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরী করে নিয়মিত publish article করলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনার ওয়েবসাইটের Visitors বেড়ে গেলে এক সময় ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি Premium করে তুলতে পারবেন।

সুতরাং চিন্তার কোনো কারন নেই আপনি ফ্রি ব্লগ থেকেও আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

Blogging করে কত টাকা আয় করা যায় বিষয়টা Average হিসাব করে বলতে হবে Actual বলাটা সম্ভব না। কারন ব্লগ সাইট থেকে মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে আয় করে থাকে কেউ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আবার কেউ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। সুতরাং এভারেজ কত টাকা ব্লগিং করে আয় করা যায় সেটা জানতে নিচের ইমেজটি ফলো করুন।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

সুতরাং দেখতেই পারছেন একজন ব্লগার কতভাবে ইনকাম করে থাকে ও কত টাকা আয় করতে পারে।

নতুন কোনো bengali blogger google adsense approve পাওয়ার পর যদি এক দেড় বছর সময় নেয় তাহলে তার মাসিক ইনকাম থাকে ১০-১৫ হাজার টাকা। নিয়মিত আর্টিকেল শেয়ার করে ভিজিটর বাড়ার ফলে মাসে ৩০-৫০ টাকা আয় করা যাবে।

ব্লগিং গাইডলাইন – blogging guidelines

Blogging করার সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো নিজের মতো করে topic select করে লেখালেখি করা যায়। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট খুলে ব্লগিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই টপিক/নিশ সিলেক্ট করতে হবে। নিশ সাইট তৈরি করলে বেশি আয় করতে পারবেন। নিশ ব্লগ সাইট হলো কোনো টপিককে টার্গেট করে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল লেখা।

আপনি যদি নিশ সাইট তৈরি করতে না পারেন তাহলে Mixed site তৈরি করতে পারেন। যেখানে সকল বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লেখা যাবে। তবে এটায় ইনকাম সুবিধা কম পাবেন।

ব্লগিং টিপস এন্ড ট্রিক্স

  • ব্লগিং করার জন্য অবশ্যই বেসিক এসিও (SEO) শিখতে হবে ও ফটোশপের মাধ্যমে ইমেজ এডিট করা শিখতে হবে।
  • আর্টিকেল লেখার সময় কারোটা Copy করা যাবে না। চাইলে গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন ভাবে আইডিয়া নিতে পারেন।
  • যদি পিসি/ল্যাপটপ থাকে সেটার মাধ্যমে ব্লগিং করার চেষ্টা করবেন। অন্যথায় smart phone ব্যবহার করতে পারেন।
  • ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ভালো মানের Domain-hosting কেনার চেষ্টা করবেন ও theme/templates ক্রয় করে ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনার সাইট গুগলে Rank হতে সুবিধা হবে।
  • Website/এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলের জন্য ওয়ার্ডপ্রেসে yoast seo/ rank math প্লাগইন ইউজ করতে পারেন।
  • ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এপ্রোভ পাওয়ার জন্য ১৫-২০ টা আর্টিকেল এসইও ফ্রেন্ডলি ও বেশি ওয়ার্ডের লেখার চেষ্টা করুন।
  • আপনার সাইট সবসময় মোবাইল স্পীড বেশি বেশি রাখবেন। কারন মোবাইল থেকে বেশি ভিজিটর আসে ও গুগল মোবাইল স্পীড বেশি প্রাধান্য দেয়।
  • কিছু দিন পর পর সাইটের এসইও কাজ করবেন যেমন- ব্যাকলিংক তৈরি করা, ওয়েবসাইটের স্পীড বৃদ্ধি করা।
  • আর্টিকেল গুগলে প্রথম পেজে পাওয়ার জন্য ভালো মানের কীওয়ার্ড নির্বাচন করুন। এবং প্রথম দিকে কম প্রতিযোগিতার আর্টিকেল লেখুন।

অনলাইনে আয় করতে ব্লগিং কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা নিশ্চয় এরই মধ্যে জেনে গেছেন। উপরের টিপস এন্ড ট্রিক্সগুলো ফলো করলে ব্লগিং করে খুব দ্রুত সফলতা আনতে পারবেন।

উপসংহারঃ ( ব্লগিং করে টাকা আয় )

ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যমটি হলো ব্লগিং করা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ঘরে বসে আয় করার জন্য বগিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ব্লগ সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকে বা কোনো ভুল থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আশা করি আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!